গাজীপুর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন এরশাদ নগর একটি ঘন বসতি পূর্ণ বস্তি এলাকা, ঘন বসতি পূর্ণ বস্তি এলাকা হওয়ায় এখানে অপরাধ প্রবণতাও অনেক বেশি।বলা চলে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হিসেবেই পরিচিত এই গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নং ওয়ার্ড এরশাদ নগর এলাকা। অপরাধ সাম্রাজ্যের প্রভাব বিস্তারে অঙ্গহানি থেকে শুরু করে অসংখ্য হত্যার ঘটনাও ঘটেছে এই এলাকায়। বর্তমানে এরশাদ নগর এলাকার অপরাধ সাম্রাজ্যের মুকুট বিহীন বাদশা হিসেবে পরিচিত এরশাদ নগরের গডফাদার খ্যাত রাসেল মাহমুদ (ওরফে জামাই রাসেল)। মাদক কারবারি থেকে শুরু করে ছিনতাই, ডাকাতি হত্যা চেষ্টা সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বিশাল বাহিনী রয়েছে তার, যা রাসেল বাহিনী হিসেবে পরিচিত, এই বাহিনীর প্রধান ২ সিপাহসালার হচ্ছে আল-আমিন মুন্সি (ওরফে মুরগী আলামি). মঈজুদ্দিন (ওরফে রগ কাটা মইজু)।
আলামিন জামাই রাসেলের মাদক নিয়ন্ত্রণ করে এবং
মঈজুদ্দিন নিয়ন্ত্রণ করে সন্ত্রাস বাহিনী।
তাদের বিরুদ্ধেও মামলা সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
আধিপত্য বিস্তারে রাসেল বাহিনী প্রায়শই অস্ত্রশস্ত্রসহ পুরো এলাকায় মোহরা দিয়ে থাকে। রাসেল বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০/৬০ জন। তারা দাপিয়ে বেড়ায় পুরো এলাকা। কেউ প্রতিবাদ করলে এর চরম মাশুল দিতে হয় তাকে, তুলে নিয়ে গিয়ে চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন।
স্থানীয়রা জানান রাসেল এরশাদ নগরের জন্য একটি অভিশাপের নাম। স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতার নাম ভাঙিয়ে সে চালাচ্ছে তার অপরাধ সম্রাজ্য। একটি পাগলা কুকুরের ন্যায় বেপরোয়া হয়ে গেছে সে, তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।