স্থল-সীমান্ত নির্ধারণ ও ছিটমহল সমস্যার সমাধান
বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্ত সর্বাধিক। স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের অভ্যন্তরের কিছু ছিটমহলের জন্য সীমানা সংক্রান্ত বিষয়গুলো অমীমাংসিত ছিল। দীর্ঘ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে ভারতের সাথে বিবাদমান স্থল সীমানাগুলো নির্দিষ্টকরণে সমর্থ হয় আওয়ামী লীগ সরকার।
ফলে বাংলাদেশের ভেতর ১১১টি ভারতীয় ছিটমহল (১৭ হাজার ১৬০ একর) বাংলাদেশের মালিকানায় চলে আসে এবং ভারতের ভেতর থাকা ৫১টি বাংলাদেশি ছিটমহল (সাত হাজার ১১০ একর) ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ হয়ে যায়। বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী নাগরিকত্ব বেছে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে ছিটমহলের বাসিন্দারা দিনটিকে তাদের মুক্তির দিন হিসেবে পালন করে আসছে। পূর্ণ নাগরিক সুবিধা ও উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে তারা।
মূলত, ১৯৭৪ সালের মে মাসে দুই দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে এই স্থল-সীমানা মীমাংসার চুক্তিটি সই হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আর কোনো সরকারই এই ন্যায্য দাবির কথা উচ্চারণ করেনি। উল্টো যেসব ভারতীয় পণ্যের ওপর ৩০০ থেকে ৪০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা ছিল, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান সেই শুল্ক তুলে দিয়ে ভারতকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ দেয় বাংলাদেশে।
পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর বাংলাদেশের কিছু পণ্যকেও ভারতে শুল্কমুক্ত রফতানির সুবিধা আদায় করে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সমর্থ হন।